top of page

বিড়ালের উঁকুন হলে করণীয়

বিড়ালের উকুন খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। ভয়ের কোন কারণ নেই, কারণ বিড়ালের উঁকুন মানুষের মাঝে সংক্রামিত হয় না। পশু চিকিৎসকরা বিড়ালের উকুন নিয়ে খুব কড়া ক্যামিকেল ট্রিটমেন্ট এর ব্যাপারটাকে নিরুৎসাহিত করেন। আমরাও আমাদের সাইটে বিড়ালের ঘরোয়া চিকিৎসাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি। এই আর্টিকেলেও প্রধানত উঁকুন বিষয়ে ঘরোয়া চিকিৎসার বিষয়টিই বেশি গুরুত্ব পাবে।

 

বিড়ালের উকুন ধরা পড়লে নিচের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করবেনঃ

 

০১। এপল সিডার বা ভিনেগার/সিরকাঃ এপল সিডার বা ভিনেগার উকুনকে মারতে পারে না। এরা উকুনের জন্য অসহনীয় পরিবেশ তৈরি করে। ফলে উকুন গা থেকে ঝড়ে পড়তে শুরু করে। একটি পাত্রে কিছু ভিনেগার/এপল সিডার ১:১ অনুপাতে কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে বিড়ালের গায়ে স্প্রে করুন। লোম সরিয়ে সরিয়ে গায়ের চামড়ায় যাতে স্প্রে গিয়ে পৌছায় সেটি খেয়াল রাখবেন। এরপর বিড়ালকে এক মিনিট রোদে বসিয়ে রাখুন। খেয়াল রাখুন সে যাতে গা চাটতে শুরু না করে। নানান কথাবর্তা বলে ভুলিয়ে রাখুন। এরপর একটি চিকন উকুননাশক চিরুণী দিয়ে আঁচড়িয়ে গায়ের উঁকুনগুলো তুলে নিয়ে আসুন। এবারে সুন্দরকরে গা মুছে পরিস্কার করে নিন। নিচের ভিডিওটি অনুসরণ করতে পারেন। এই ভিডিওতে ডিশ ওয়াশার ব্যবহার করা হয়েছে। এপল সিডার/ভিনেগারই সবচাইতে ভালো বিড়ালের জন্য। ভিডিওর প্রোসেস হুবহু অনুসরণ করুন, শুধুমাত্র ডিশ ওয়াশারের পরিবর্তে ব্যবহার করুন এপল সিডার বা ভিনেগার। লেখাটির একদম শেষে উঁকুননাশক চিরুণীর ছবি দেয়া আছে।

০২। এরপরো যদি উঁকুন না যায় তবে স্প্রে এর পরিবর্তে ১:১ অনুপাতে পানি ভিনেগার মিশিয়ে সুন্দরভাবে গোসল করিয়ে দিন। ভেজা অবস্থায় এক মিনিট রেখে এরপর ধুয়ে ফেলুন। ঠান্ডা পানি ব্যবহার না করে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন

০৩। তিন মাসের কম বয়সি ছোট বাচ্চাকে গোসল না দেয়াই সবচাইতে ভালো। এরপরও একান্ত প্রয়োজন হলে গোছল শেষেই হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে শুকিয়ে নিবেন। হেয়ার ড্রায়ার না থাকলে গোছল না করানোই ভালো।

০৪। শীতকালে প্রচুর বিড়াল সর্দি-কাশিতে মারা যায়। ছোট-বড় নির্বিশেষে শীতে গোছলে দেয়াটা উচিত নয়। এরপরও যদি একেবারেই অতিষ্ঠ হয়ে যান, তাহলে সুন্দরভাবে মুছে রোদে বসিয়ে দিবেন।

০৫। উঁকুন ঝড়ে যাবার পর সেগুলোকে একটা একটা করে মেরে ফেলতে হবে।

০৬। আমাদের দেশে অনেকেই ইংলিশ উঁকুন নাশক শ্যাম্পু এবং ন্যাপথলিন ব্যবহার করেন। এতে সব উঁকুন নিমেষেই দূর হবে নিসন্দেহে। পশু চিকিৎসক এই পদ্ধতি ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করেন। বিড়ালের সবচাইতে বড় সমস্যা হচ্ছে এরা নিজের গা চেটে চেটে পরিস্কার করে। সুতরাং, এদের গায়ে আপনি যাই দিবেন, তাই এদের পেটে চলে যাবে। এজন্যই এত বিষাক্ত জিনিস বিড়ালের গায়ে দেয়া ঠিক না। আপনি যদি ১০০% নিশ্চিতভাবে ইংলিশ উকুন নাশক শ্যাম্পু বা ন্যাপথলিন কাজ শেষে ওদের গা থেকে ধুয়ে ফেলতে পারেন, সেই আত্মবিশ্বাস যদি আপনার থাকে, তাহলেই কেবল এই ঝুঁকি নিতে পারেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিজ দায়িত্বে কাজটা করবেন।

০৭। ক্যামিকেল যদি ব্যবহারই করতে চান, তাহলে অনলাইনে বিড়ালের উকুননাশক স্প্রে কিনে ব্যবহার করুন।

০৮। তিনমাসের নীচে বিড়ালের ক্ষেত্রে কোন ক্যামিকেল, ন্যাপথলিন, শ্যাম্পু, স্প্রে, পাওডার, কলার কিছুই দেয়া যাবে না। শুধুমাত্র এক নং পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।

০৯। কুকুরের স্প্রে, পাওডার, শ্যাম্পু বিড়ালকে দেয়া যাবে না।

১০। স্প্রে করার সময় খেয়াল রাখবেন যাতে নাকে, কানে বা চোখে না যায়।

১১। লেজের গোড়ায় বেশি উকুন হয়, সেদিকটা খেয়াল রাখতে হবে।

১২। বাসার সব বিড়ালকে একসাথে ট্রিটমেন্ট দিতে হবে।

১৩। ওদের বিছানাপত্র সব ধুয়ে সাফ করে দিতে হবে। বিছানায় উকুনের ডিম থাকতে পারে যা থেকে পরে সংক্রমিত হবার সম্ভাবনা থাকে।

Double-Sided-Flea-lg.jpg
bottom of page