top of page

মিউ ব্লগ

বিলাই সমস্যার সমাধান

নতুন বিড়াল পুষছেন তাই বুঝতে পারছেন না কি করবেন? আশেপাশের মানুষকে জিজ্ঞেস করলে কোন সাহায্য তো  তো করছেই না, উল্টো হাসাহাসি করছে? ইন্টারনেটে খুঁজেও অভিজ্ঞ লোকের পরামর্শ পেতে বেগ পেতে হচ্ছে? খুব কষ্টে যুদ্ধ করে বাঁচিয়ে রাখার পরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে? দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। এই ব্লগে একবার চোখ বুলালেই বিড়াল সংক্রান্ত সব সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন সহজেই। নিচের বাটনগুলো লক্ষ্য করুন, এবং যা সম্পর্কে জানতে চান তার উপর ক্লিক করুন। এরপর সয়ংক্রিয়ভাবে আপনার প্রশ্নের উত্তর সংবলিত ব্লগটি ওপেন হবে। পড়ুন, পড়া শেষে এই মেনুতে ফিরে আসতে চাইলে উপরে ডান কোণায় Home বাটনে ক্লিক করুন।

বিড়াল কামড় দিলে কি করবেন?

  • Writer: সিয়াম বিন রহমান
    সিয়াম বিন রহমান
  • Dec 13, 2018
  • 1 min read

আমার এ পর্যন্ত ছয়টি বিড়াল পালার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিড়াল পালতে গেলেই আচড় কামড় খেতেই হবে, এটা অনেকটা অলিখিত নিয়ম। বিড়ালের আঁচড়-কামড় আর দশটা আঘাতের মতই। এর খুব ভালো প্রতিকার আছে। কামড় খেলে প্যানিক করার কোন কারণ নেই, ভয়েরও কিছু নেই। সামান্য কিছু পদক্ষেপ নিলে খুব সহজেই বিপদ এড়ানো সম্ভব।



পোষা বিড়ালের কামড় খাওয়া একটি স্বাভাবিক ব্যাপার


০১। বিড়াল আঁচড়-কামড় দিলে প্রথম কাজ সাবান পানি দিয়ে সুন্দর করে ক্ষতস্থান ধুয়ে ফেলা। কোন পাত্রে ডুবিয়ে না ধুয়ে চলমান পানিতে ধোয়াই সবচাইতে ভালো। সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেললে জলাতঙ্ক, ইনিফেকশান সহ সবকিছুর সম্ভাবনা কমে যায়। সাবান দিয়ে ধোয়ার পর স্যাভলন, স্যাভলন ক্রিম, নেবানল পাউডার অথবা আফটার শেইভ দিয়ে আরেকবার ধুয়ে ফেলুন।


০২। সাথে সাথে ধুয়ে ফেললেই ইনফেকশানের ঝুঁকি থাকেনা বললেই চলে। তা সত্যেও অনেকক্ষেত্রে ইনফেকশান হয়ে যেতে পারে। হাত যদি অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যায়, কিংবা ক্ষতস্থান থেকে পুঁজ বের হতে শুরু করে তাহলে দেরি না করে দ্রুত ডাক্তার দেখান ও এন্টিবায়োটিক কোর্স শুরু করুন। তবে না জেনে আন্দাজে কোন এন্টিবায়োটিক খাওয়া শুরু করবেন না।


০৩। এবারে আসি জলাতঙ্ক প্রসঙ্গে। বাংলাদেশে জলাতঙ্ক নির্মুলপ্রায় একটি রোগ [01]। সরকারি নানা উদ্যোগে জলাতংকের হার ৯০% কমিয়ে আনা হয়েছে এবং একে নির্মুল করার পরিকল্পনাও রয়েছে। তা সত্যও এখনো জলাতঙ্ক রোগের কথা মাঝে মাঝে শোনা যায়। রাস্তার কুকুর বিড়াল্যা্ কামড় দিলে ধুয়ে ফেলার পাশাপাশি জলাতংকের টীকা (র‍্যাবিস ভ্যাক্সিন) দিতে হবে। সঠিকভাবে টীকা দেয়া হলে মানুষভেদে মোটামুটি ১০ বছর পর্যন্ত এর কার্যকারিতা থাকে। কার্যকারিতার মেয়াদ কতদিন থাকবে সেটা টীকা দেয়ার সময় ডাক্তারের কাছে শিওর হয়ে নিবেন।


০৪। আপনার বাসায় যদি পোষা বিড়াল থাকে তাহলে তাকে জলাতংকের টীকা দিতে হবে। টীকা দেয়ার পদ্ধতি নিয়ে অন্য একটি ব্লগে বিস্তারিত আলোচনা করবো। পোষা বিড়ালের টীকা দেয়া না থাকলে আঁচড় কামড় না দিলেও জলাতংকের টীকা দিয়ে নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।


আশা করি লেখাটিতে আপনারা উপকৃত হবেন। শুভ কামনা রইল।

Comments


Home: Blog2

 পোষা বিড়াল নিয়ে সমস্যায় আছেন?  

Home: GetSubscribers_Widget

CONTACT

Your details were sent successfully!

Dog in His Bed
Home: Contact
bottom of page