top of page

মিউ ব্লগ

বিলাই সমস্যার সমাধান

নতুন বিড়াল পুষছেন তাই বুঝতে পারছেন না কি করবেন? আশেপাশের মানুষকে জিজ্ঞেস করলে কোন সাহায্য তো  তো করছেই না, উল্টো হাসাহাসি করছে? ইন্টারনেটে খুঁজেও অভিজ্ঞ লোকের পরামর্শ পেতে বেগ পেতে হচ্ছে? খুব কষ্টে যুদ্ধ করে বাঁচিয়ে রাখার পরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে? দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। এই ব্লগে একবার চোখ বুলালেই বিড়াল সংক্রান্ত সব সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন সহজেই। নিচের বাটনগুলো লক্ষ্য করুন, এবং যা সম্পর্কে জানতে চান তার উপর ক্লিক করুন। এরপর সয়ংক্রিয়ভাবে আপনার প্রশ্নের উত্তর সংবলিত ব্লগটি ওপেন হবে। পড়ুন, পড়া শেষে এই মেনুতে ফিরে আসতে চাইলে উপরে ডান কোণায় Home বাটনে ক্লিক করুন।

Search

সদ্য-জন্মানো বিড়াল-ছানার যত্ন

  • Writer: সিয়াম বিন রহমান
    সিয়াম বিন রহমান
  • Dec 13, 2018
  • 2 min read

সদ্য জন্মানো বেড়াল মায়ের কাছ থেকে আলাদা হয়ে গেলে তাকে বাঁচানো খুবই কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং কাজ। তাই আশেপাশে মা থাকলে দয়া করে কোন অবস্থাতেই বাচ্চাকে মায়ের কাছ থেকে আলাদা করবেন না। যদি রাস্তায় বা অন্য কোথাও এতিম বেড়ালের বাচ্চা পড়ে থাকতে দেখেন, তাহলে একঘন্টার মত সেখানে অপেক্ষা করুন। আশপাশ খুঁজে নিশ্চিত হয়ে নিন যে মা নেই। প্রয়োজনে আশেপাশের লোকজনকে জিজ্ঞেস করুন। এরপর নিশ্চিত হলে তবেই তাকে বাসায় নিয়ে আসুন।


এরপর নিচের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করুনঃ


০১। এদের নিয়ে সবচাইতে বড় ভয় হচ্ছে এদের দ্রুত ঠান্ডা লেগে যায়, ও ঠান্ডায় ধুপ করে মারা যায়। এদের দ্রুত জায়গায় রাখুন। একটা বক্স নিন। বক্সে মোটা কাপড় বিছিয়ে নিন। এতে বাচ্চাটিকে রাখুন। এরপর আরেকটা কাপড়ে ওকে ঢেকে দিন।


০২। এবার একটা প্লাস্টিকের বোতলে গরম পানি ঢালুন। এটিকে মোটা কাপড়ে পেচিয়ে নিন। তারপরে সেটাকে বাচ্চাটার পাশে রাখুন। বোতল ঠান্ডা হয়ে গেলে পানি পালটে দিন। অসহনীয় গরম যাতে আবার না হয় খেয়াল রাখবেন। এসবের পরিবর্তে হিটিং প্যাড ব্যাবহার করতে পারেন।


০৩। দুই ঘন্টা পর পর খাওয়াতে হবে। ম্যাক্সিমাম চারঘন্টার গ্যাপ দেয়া যাবে। উল্লেখ্য, যদি ওরা ওনেক ঠান্ডা হয়ে যায়, তাহলে শরীর গরম না করে খাওয়াবেন না।


০৪। ফার্মেসি বা মুদি দোকানে "Lactogen 1" পাওয়া যায়। কিনে আনুন। পানিতে পাতলা করে মিশিয়ে সিরিঞ্জ (সুঁই ছাড়া) দিয়ে আস্তে আস্তে খাওয়ান। খাবার যেন ঠান্ডা খাবার না হয়, খুবই হালকা কুসুম গরম হলে সবচেয়ে ভালো। খাওয়ানোর ভিডিওঃ






০৫। খেতে না চাইলে চিকন সিরিঞ্জ দিয়ে মুখের সাইড দিয়ে হালকা করে চাপ দিলে মুখ খুলবে। এরপর মুখের কিছুটা ভিতরে ঢুকিয়ে গলার কাছে এক ফোটা এক ফোটা করে ছাড়বেন।


০৬। হিসু ম্যানুয়ালি করাতে হবে। খাওয়ানোর পর কমোডের উপরে নিয়ে যান, এরপর ভেজা তুলো দিয়ে হিসু করার ছিদ্র পরাবর চেটে দেয়ার মত করে ঘষুন, যাতে সে মনে করে তার মা চেটে দিচ্ছে। তখন হিস্যু করবে।


০৭। গোছল করানোর কথা ভুলেও কল্পনাও করবেন না।


০৮। খাওয়ানোর সময় ভিজে গেলে সাথে সাথে মুছে ফেলুন বা হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে শুকিয়ে নিন।


০৯। ঠান্ডা ফ্লোরে যেন না আসে।


১০। কোনভাবেই ভুলেও গরুর দুধ খাওয়াবেন না। গরুর দুধ এদের হজম হয় না, খাওয়ালে ডায়রিয়া নিশ্চিত।


আপনাকে একটু কষ্ট করতে হবে কয়েকটা দিন, বাট যখন বড় হবে আস্তে আস্তে দেখবেন কত ভাল লাগে।




Comments


Home: Blog2

 পোষা বিড়াল নিয়ে সমস্যায় আছেন?  

Home: GetSubscribers_Widget

CONTACT

Your details were sent successfully!

Dog in His Bed
Home: Contact
bottom of page